হিলিতে দুদিন আমদানি হয়নি পেঁয়াজ, দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা

 


ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্কায়ন ও রপ্তানি মূল্য কমালেও সার্ভার জটিলতায় দুই দিন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। ফলে পণ্যটির সংকট দেখা দিয়ে কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে আশার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দু-একদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমবে কেজিতে ১৫-২০ টাকা।


ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। 



ভারতে ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন শুল্ক আরোপ ও রপ্তানি মূল্য সার্ভারে যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে আমদানি, কমবে দাম।  


এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে সংকট দেখা দেয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে নূন্যতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।


হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিন আগে রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি নূন্যতন ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। সেই মোতাবেক ভারতের রপ্তানিকারকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হলে ১০-১৫ টাকা আমদানি করছ কমবে।


এদিকে হিলি স্থলবন্দর এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় দু-দিন আমদানি না হওয়ায় কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। অপরিবর্তিত রয়েছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। আগের ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 


হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার, রোববার দুদিনে ৯৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৭৫৫ টন ভারতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।