সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগের দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে।
• সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগের দ্বিতীয় দিন চলছে সোমবার
• প্রথম দিন সারা দেশে ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোন ডটকম।
• রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ।
• সহিংসতার মধ্যে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু।
• দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে বলেছে বিজিএমইএ।
• সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ।
• সোমবার ঢাকামুখী লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আন্দোলনকারীদের পরিকল্পনা কী
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ঢাকামুখী লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিবিসি বাংলা লিখেছে, আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেইসবুকে সোমবারের কর্মসূচির পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, বেলা ১১টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেবে ঢাকার আন্দোলনকারী ও লংমার্চ করে ঢাকায় আসা জনতা।
সবাই শহীদমিনারে জড়ো হবেন বেলা ১১টা থেকে। শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে যাবেন, সেখানে কেন্দ্রীয় সমাবেশ হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শাহবাগ থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে ।
''আমরা সুসংগঠিতভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। কোনো ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি,'' লিখেছেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
উৎকণ্ঠার প্রহর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ঢাকামুখী লং মার্চের ঘোষণায় কারফিউয়ের মধ্যে উৎকণ্ঠার সময় পার করছে মানুষ।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে চলছে এই অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। কখন কারফিউ শিথিল হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।
সোমবার শুরু হয়েছে তিনদিনের সাধারণ ছুটি। অফিস আদালত, ব্যাংক ও শিল্প কারখানা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে আগে থেকেই।
সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। সব সড়কই প্রায় জনশূন্য, জরুরি সেবার দুয়েকটি গাড়ি এবং অলিগলিতে কিছু রিকশা ছাড়া প্রধান সড়কে যানবাহন চলছে না।
বিভিন্ন মোড় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তায় কেউ বের হলে চলছে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ।
সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে রোববার দুপুর থেকে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকলেও ফেইসবুক, টিকটকের মত সোশাল মিডিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।