শিক্ষা বোর্ডের আদেশ মানছেনা রামু সরকারি কলেজ



নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সটিভি 

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজ নিয়ে আবারো কথা উঠেছে। কলেজ অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে ভয়াল অর্থনৈতিক কেলেংকারি ও কলেজের এক অধ্যাপক কর্তৃক ছাত্রীর সাথে যৌন কেলেংকারির পর এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণেও বোর্ড কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়েও অধ্যক্ষ বরাবরের মতই

অযৌক্তিক কথাবার্তার মাধ্যমে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন। কলেজটির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে।  আগামি ৩০ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে পরীক্ষার ফরম পূরণ চলছে। পরীক্ষার ফরম পূরণের ফিঃ যথারীতি চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড

কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিয়েছে। বোর্ডের নির্ধারিত ফিঃ এর বেশি কোনভাবেই আদায় না করার জন্য গত পহেলা এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল কলেজ কর্তপক্ষকে নিষেধ করে দিয়েছেন।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে-'কোন অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফিঃ  অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।' এ ধরণে অপচেষ্টা শিক্ষামন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরী কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের নামে কোন মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া গেলে

বোর্ড কর্তৃপক্ষ সেই সাথে ফরম পূরণের ফিঃ নির্ধারণ করে দিয়েছে। তা যথাক্রমে কলেজের মানবিক বিভাগ ও ব্যবসায শিক্ষা বিভাগের জন্য দুই হাজার ২২০ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের ফরম পূরণের জন্য দুই হাজার ৭৮০ টাকা ফিঃ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ফিঃ এর বাইরে আর অতিরিক্ত টাকা নিতে বোর্ডের নিষেধ থাকা সত্বেও রামু কলেজ কর্তৃপক্ষ যথারীতি বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে রিতিমত কলেজের প্যাডে নোটিশ দিয়েই অতিরিক্ত ফিঃ আদায় করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিকট জনপ্রতি ১০০ টাকা করে অতিরিক্ত ফিঃ আদায় করার নোটিশ দিয়েও ক্ষান্ত থাকেনি। এর বাইরেও কলেজের হিসাব রক্ষকের মাধ্যমেও অতিরিক্ত ৫০০/৬০০ টাকা পর্যন্ত নগদেও (ক্যাশ) আদায় করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি শিক্ষার্থীরা মোবাইলের নগদ এ্যাপসের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে আসছে। কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এবং ফরম পূরণ কমিটির আহ্বায়ক মো আবদুল হক গত ৯ এপ্রিল বোর্ডের আদেশের বিপরীতে ১০০ টাকা করে বেশি দিয়ে ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের এক নোটিশ জারি করেন। নোটিশের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মোবাইল নগদ এ্যাপসের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে বেশি আদায় পূর্বক ফরম পূরণ করেছে। শুধু ১০০ টাকা বেশি দিয়ে নগদ এ্যাপসে ফরম পূরণের পরও শিক্ষার্থীরা পার পায়নি। এরপর তাদের আটকানো হয়েছে কলেজটির হিসাব রক্ষকের জালে। শিক্ষার্থীরা যখন এ্যাপসে ফরম পূরণের কাগজ জমা দিতে হিসাব রক্ষকের কাছে যায় তখন হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিন আরেক ধরা ধরে বসেন। তিনি এবার শিক্ষাথেরদির কাছে ৫০০/৬০০ টাকা দিতে বাধ্য করে বসেন। হিসাব রক্ষক এরকম টাকা আদায় করা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গতকাল সোমবার কলেজ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেছেন। সেই সাথে তাদের নিকট আদায় করা অতিরিক্ত টাকাও ফেরতের দাবি জানিয়েছেন। গতরাতে হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভড করেননি।

এসব বিষয়ে গতরাতে রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুল আলমের সাথে আলাপ হলে তিনি এ বিষয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠণের মাধ্যমে অতিরিক্ত আদায় করা টাকা ফেরৎ দেয়ার ব্যবস্থা হবে বলেও জানান তিনি।