ডিসেম্বরে উদ্বোধন সম্ভব বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

 


টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশ কাজ শেষ হলেই ডিসেম্বরে উদ্বোধন করা হবে রেলসেতুটি। চালু হওয়ার পর রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে পারাপার হতে পারবে।


সেতুটির টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে এবং সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তেও পুরোপুরি কাজ শেষের দিকে। এছাড়া সেতু পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।



CoxTv News হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল Follow করে আরও সহজে খবর পড়ুন



শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সেতুর প্রায় ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম প্রান্তের স্টেশন ও প্লাটফর্মের কিছু কাজ। এছাড়া সেতুর পশ্চিমপাড়ের অংশে লেভেলিং অ্যালাইমিং ও ট্র্যাক বসানোর কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষ হওয়ার পর টেস্টিং ও ট্রেন চালু করার কিছু নিয়ম শেষ করে ডিসেম্বরেই উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।


রেলওয়ে প্রকল্পসূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২১ সালে মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে পাইলিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মাণ কাজের ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এ প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।


ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণাধীন এ সেতুটির সবকটি স্প্যান এরইমধ্যে বসানো হয়েছে। যমুনা নদীর পূর্ব টাঙ্গাইলের অংশের পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জে পুরোপুরি কাজ শেষের দিকে রয়েছে। এছাড়া সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও প্রায় শেষ।