সুনামগঞ্জে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করেছে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চার দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সাইমন মিয়া ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে সুনামগঞ্জের পৌর শহরের শাপলা চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে তারা দাবি আদায়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
কর্মসূচিতে সাইমন মিয়া, আব্দুল বারী বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে, আরেক পক্ষ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চাঁদাবাজি ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে।
বিকেলে শহীদ জগৎ পাবলিক লাইব্রেরিতে সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী নাহাত হাসান পৌলমী ও ইমনদ্দোজা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা শুনেছি বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি চক্র চাঁদাবাজি শুরু করেছে এটা সত্যি দুঃখ জনক আমরা এর নিন্দা জানাই।
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুটি গ্রুপ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নাহাত হাসান পৌলমী ও ইমনদ্দোজা বলেন, মূলত মতবিরোধ থেকেই আমাদের এই বিভক্তির সৃষ্টি। আমরা সবার সঙ্গে বসে শহর টাকে সুন্দর করতে চেয়েছিলাম কিন্তু এই মতামতে অনেকে সম্মতি মিলেনি তাই আজকে মূলত এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সায়মন মিয়া বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করার জন্য ১২ জুলাই সুনামগঞ্জের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সভা করি। ১৪ তারিখ থেকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারক লিপি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন শুরু করি। আন্দোলনের পর থেকে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ ও পুলিশের দ্বারা অনেক নির্যাতিত হতে হয়েছে। পরে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হত্যার দাবিতে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গানে গানে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু বর্তমানে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে তারা নাকি শুরু সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এটা সত্যি দুঃখজনক।