থানার দায়িত্ব পালনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজছে


থানার দায়িত্ব পালনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ১৭টি ও মহানগরের ১৬টিসহ মোট ৩৩টি থানা রয়েছে। আমরা যদি থানা প্রতি কমপক্ষে পাঁচ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পাই, তবে ধীরে ধীরে থানাগুলোতে স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।


শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।



সভায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের মোট ৩৩টি থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদসমূহ, কোর্ট বিল্ডিং-সংলগ্ন এলাকা, ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ অফিসসমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।


সভায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরের জন্য ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে জেলা প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার মনিটরিংয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট, অভিযোগ গ্রহণে দুই ম্যাজিস্ট্রেট এবং লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (হারিয়ে যাওয়া জিনিস খোঁজার জন্য) টিমে দুই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


সভায় উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ পুলিশ নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ ফ্যাসিস্টরা। জনজীবন স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় খুবই জরুরি। এ সময় তিনি ট্রাফিক কন্ট্রোলে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও স্কাউটদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান।


সভায় উপস্থিত অন্য সমন্বয়করা থানা ও কারাগার থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র দ্রুত উদ্ধারসহ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 


সভায় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।