বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা, হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নজরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের মুখপাত্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার। তিনি জানান, বাংলাদেশে সংঘটিত চলমান পরিস্থিতি নজরে রেখেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই তারা এই অব্যাহত সহিংসতা দেখতে চায় না।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের ওপর হামলা-সহিংসতার জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান ছাত্র বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে? এ বিষয়টি পেন্টাগন কীভাবে পর্যবেক্ষণ করছে?
ওই সাংবাদিক আরো বলেন, আন্দোলনে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ আহত। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘের সাঁজোয়া যান ব্যবহার করছে, যার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে আপনাদের পর্যবেক্ষণ কি?
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, হ্যাঁ। অবশ্যই। অবশ্যই আমরা সেখানে (বাংলাদেশে) চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে আমার সহকর্মীরা যা বলেছে, আমিও সেটির প্রতিধ্বনি করতে চাই। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং অবশ্যই আমরা অব্যাহত সহিংসতা দেখতে চাই না।