৬ সমন্বয়কসহ ডিবিতে আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১১ দফা দাবি

আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কসহ ডিবিতে আটক অন্যান্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন বিক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাজ। তাদের ছাড়া না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। এছাড়া জোর করে ও ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা বন্ধ করা, কারফিউ তুলে নেওয়াসহ ১১ দফা দাবি করেছেন তারা।


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের জোট বিক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাজ।


টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ৭১’র মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে এটা ভাবনায় ছিল না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি না দিলে ডিবি সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক ডক্টর আসিফ নজরুল বলেন, সরকার মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, মনে করছেন নাগরিক সমাজ।


কোটা আন্দোলনের সময় সহিংস পরিস্থিতিতে সরকারি স্থাপনায় আক্রমনেরও নিন্দা জানান তারা।


এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।