সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারে বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে নগরীর ১নং ওয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক সলিড ওয়েস্ট সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন।
৩০ জুলাই বিকেল ৪টায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তা ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডিএসকে'র ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন এবং হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে কক্সবাজার পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপনাটি হস্তান্তর করে ডিএসকে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম।
স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম আক্তার, ইউনিসেফের ওয়াস স্পেশালিস্ট জাহিদুল মামুন ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, বিভিন্ন ওয়াস পার্টনার সংস্থা ও ডিএসকে আরবান ওয়াশের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ, ১নং ওয়ার্ডের ওয়াস কমিটি, বর্জ্য উদ্যোক্তারা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাহিনী এবং ১নং ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: পৌরসভার আওতায় ও অনুমোদনক্রমে ডিএসকে আরবান ওয়াস, কক্সবাজার প্রকল্প থেকে প্রাথমিকভাবে দুইজন বর্জ্য উদ্যোক্তা তৈরি করে যাদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এই ট্রান্সফার স্টেশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর সুবিধাভোগীদের জন্য প্রদেয় সেবামূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাসিক শ্রেণীর ৭,১৩৫টি খানার জন্য মূল্য নির্ধারণ হয়েছে খানাপ্রতি মাসিক ৩০ টাকা।
বাজার এলাকায় বড় দোকানের জন্য ১৫০ টাকা, মাঝারি দোকানের জন্য ১০০ টাকা ও ছোট দোকানের জন্য ৮০ টাকা সেবামূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া হোটেল/প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫০ টাকা ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকারী ও ঘাটসমূহের জন্য ২০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে।
যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে:
প্রথমে বিভিন্ন খানায় শ্রেণীকৃত বর্জ্য নির্দিষ্ট বিনে জমা হবে। উদ্যোক্তা এরকম ২১০ জোড়া কম্যুনাল বিন থেকে অথবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবে। উদ্যোক্তার ভ্যানে করে সেই বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে নিয়ে আসা হবে। এখান থেকে পৌরসভার গাড়ি সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। এরপর পচনশীল বর্জ্য চলে যাবে ডাম্পিং স্টেশনে এবং নবায়নযোগ্য বর্জ্য বিভিন্ন কারখানায় বিক্রি করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এই কাজে ডিএসকে আরবান ওয়াশ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্য সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছে। এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১নং ওয়ার্ডের ৭৩টি কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও জনগনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করেছে ডিএসকে। কমিউনিটি অবস্থা বিশ্লেষণ করে একটি ওয়াশ ইনভেন্টরি প্রস্তুত করা হয়েছে। দল গঠন করে ডিএসকের কর্মীরা সিবিও সদস্যদের সাথে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরণের বর্জ্য আলাদা আলাদা করে সঠিকভাবে রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। ৪৫০টি সচেতনতামূলক মিটিং (হাইজিন সেশন) ও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১নং ওয়ার্ডের ৪৮ হাজার নিম্ন আয়ের নগরবাসীর (২২,৬০০ পুরুষ, ২২,০০০ নারী, ৪৮০ জন প্রতিবন্ধী) মাঝে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।